**********************************
একটি প্রাইভেট কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে ICT বিষয়ের Boolean algebra পড়াচ্ছিলাম। A আর A গূণ করলে A হয়, আর 1+1=1 হয় (এটাই সঠিক নিয়ম)। সভাপতি তা শুনলেন ও অধ্যক্ষের সাথে বিষয়টি শেয়ার করলেন। সভাপতি SSC ফেল আর অধ্যক্ষ আগের যুগের সবগুলো তৃতীয় বিভাগধারী(কমার্স ব্যকগ্রাউন্ড)। সভাপতি বললেন “আমরা এতদিন পড়লাম A আর A গূণ করলে A স্কয়ার হয়, আর 1+1=2 হয় এটা তো নার্সারীর স্টুডেন্টও জানে। এ শিক্ষকের দ্বারা আর হবে না।” অধ্যক্ষও তার সাথে সুর মেলালেন। সংবাদটি বিদ্যুৎ গতিতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। আমার তো ইজ্জতের বারোটা বেজে গেল। সেই ইজ্জতের বারোটার কাটা আর ঘুরে জায়গায় আসেনি, আসবেও না। দুই মাস পর সভাপতি sorry বললেন কিন্তু এই ‘সস্তা sorry’ তো আর ইজ্জত ফিরিয়ে দিলো না।
মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ! দেশে নিয়ম হয়েছে একবারের বেশি কেউ কমিটিতে আসতে পারবে না। হ্যা, আগে SSC ফেল সভাপতি এসেছিল তারপর আসবে এইট ফেল সভাপতি। লাভ তো হবে না। এদের হস্তক্ষেপ থেকে বাচতে এখন ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করা সময়ের গণদাবীতে পরিণত হয়েছে।
তাই আপনার সোনালী সময়কে স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে আপনার জনতার স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে টিউশন ফিস সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে ভঙ্গুর অর্থনীতি পূণরুদ্ধার করে অনতিবিলম্বে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
– ড. মো: শরিফুল ইসলাম
গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।