ক্রাইম রিপোর্টার ::
সিলেটে ডিবি পুলিশ যখন অপরাধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে তখন দক্ষিণ ও উত্তর সুরমার বিভিন্ন আস্তানা থেকে ডিবি পুলিশের নামে দাড়িওয়ালা সোহাগ নামের এক লোক নিয়মিত বখরা আদায় করে আসছে। তাহার কথামতো বখরা না দিলে একই জুয়ার আস্তানায় প্রতিদিন ডিবি পুলিশ দিয়ে অভিযান দেয়া হয়। তারই একটি নমুনা চাঁদনীঘাট মাছবাজারে সাইফুল ও নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মূখে নজরুলের জুয়ার আস্তানা। গত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসে চাঁদনীঘাট মাছবাজারে সাইফুলের আস্তানায় ৬৫টি অভিযান দিয়েছে। একই সময়ে ৫শ গজ দুরত্বে নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মূখে নজরুলের জুয়ার আস্তানায় মাত্র দু’দিন অভিযান চালিয়েছে। কারন সাইফুল সোহাগকে বখরা দেয়না, আর নজরুল প্রতিদিন তাকে বখরা দেয়। ঠিক একইভাবে কীনব্রিজের নীচে মানিক এবং জিঞ্জিরশাহ মাজার সংলগ্ন বাশপালা মার্কেটে আবুল কাশেমের আস্তানায়ও এরকম অভিযান হয়েছে, কীনব্রিজের নিচে সপ্তাহে ২/৩দিন অভিযান হতো আর কাশেমের আস্তানায় গত চার মাসে অভিযান হয়েছে ৩দিন। কে এই মোঃ সোহাগ মিয়া, কি তার পরিচয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে কখনো সাংবাদিক কখনো নাটকের নায়ক কখনোবা ডিবির সোর্স? সে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও ডিবির নাম ভাঙ্গিয়ে বখরা আদায় করছে। চুরি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া, পতিতাবৃত্তি, আবাসিক হোটেল সকল অপরাধ আস্তানায় একটি নাম সোহাগ। এই সোহাগে ডিবির বদনাম হলেও ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে নেই কোন আইনি পদক্ষেপ। তাই সচেতন মহলের প্রশ্ন কে এই সোহাগ তার খুঁটিরজোর কোথায়? চলবে