এ এ রানা::
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র অভিযানে জুয়া খেলার সামগ্রীসহ ০৫ (পাঁচ) জন জুয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এর দিক নির্দেশনায় মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের টিম-০১ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ অনুমান ১০.৪৫ ঘটিকায় এসএমপি দক্ষিণ সুরমা থানাধীন চাদঁনীঘাট সাকনিস্থ মারজান হোটল নামীয় আবাসিক হোটলে এর সামনে ফাকা জায়গায় জুয়ার বোর্ডে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। শাহ আলম(৪৭), পিতা- মোঃ আনা মিয়া, সাং- কাইম চেয়ারম্যানের বাসা, সওদাগর টিলা, কুমারপাড়া, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- সিলেট, ২। রিপন আহমদ (৩২), পিতা- ফারুক মিয়া, চাদনীঘাট, ঝালোপাড়া, থানা- দক্ষিণ সুরমা, জেলা- সিলেট, ৩। নুরুল ইসলাম(৪০),পিতা- মৃত আব্দুর রব, মোস্তাক মিয়ার বাড়ি, দাসপাড়া, থানা- শাহপরাণ(রহ), জেলা- সিলেট, ৪। মাসুম আহমদ(৩৪), পিতা মৃত রব্বান আলী, সাং- দক্ষিণ কুশিঘাট, হবিনন্দি, থানা- মোগলাবাজার, জেলা- সিলেট, ৫। মোঃ আলম মিয়া (২৬), পিতাঃ মৃত সাধু মিয়া, বাসা- ৮৫/১১, নাইওরপুল, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- সিলেটদের গ্রেফতার করে দক্ষিণ সুরমা থানার নন এফআইআর নং-৪১,তাং-১৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ ধারা-সিলেট মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ এর ৯৫, উক্ত আসামিদের কে পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
ডিবির সাঁড়াশি অভিযানে একের পর লএক জুয়ার আস্তানা বন্ধ হলেও এখনো দেদারসে জুয়ার প্রতারণা চলছে নতুন রেলস্টেশনের প্রবেশ মূখে নজরুলের আস্তানা, জিঞ্জিরশাহ্ মাজার সংলগ্ন কাশেমের আস্তানা, কীনব্রিজের নীচে তাহের,জামাল,কামাল, চুন্নু ও আকাশের আস্তানা। এসব আস্তানায় ডিবির সোর্স সানী ও র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে আকাশ দুটি বিশেষ সংস্থাকে বিতর্কিত করছে। পুলিশের ব্যর্থতাকে আড়াল করে ডিবি পুলিশ যখন একের পর এক সফলতা দেখিয়ে নগরবাসীর প্রসংশা অর্জন করছে তখন সোর্স পরিচয়ে দুটি বিশেষ সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েকটি অবৈধ জুয়ার আস্তানা টিকিয়ে রাখা হয়েছে কার স্বার্থে সেই প্রশ্ন জনমনে?
গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরী বলেন, নগরীর মধ্যে যেখানেই জুয়া, মাদকসহ সমাজ বিরোধী অপরাধের খবর পাওয়া যাবে সেখানেই ডিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে। এজন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগীতা।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি এবং মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।