প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজারে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম পণ্য উৎপাদন শুরু করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী উদ্যোক্তা পলি ইসলাম। বর্তমানে ৩০০জন শ্রমিকের কর্মস্থান হলেও পরে এ প্রতিষ্টানে ১ হাজার বেকার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের লক্ষ রয়েছে প্রতিষ্টানটির। এছাড়াও শ্রীহট্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগুলোর উন্নয়নকাজও এগিয়ে চলছে দ্রæতগতিতে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল সিলেট বিভাগে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও অর্থনীতিকে চাঙা করতে মাইলফলক হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) উদ্যোগে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার শেরপুরে তিন জেলার মোহনায় ৩৫২ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল। শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য ছয়টি কোম্পানিকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেশি চারটি কোম্পানির বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নকাজ চলছে। তবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামো কাজ শেষ করে প্রথম পণ্য উৎপাদন শুরু করেছেন একজন প্রবাসী নারী বিনিয়োগকারী। বাসা-বাড়ি, অফিসে ব্যবহৃত আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন বিদেশি দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে সেখানে। শব্দ, তাপনিরোধক ও পরিবেশবান্ধব পণ্যটি সারা দেশে বাজারজাত করে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিতে চায় এ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রবাসী নারী উদ্যোক্তা পলি ইসলাম জানান, আমি বর্তমানে ইংল্যান্ডে একজন ইমিগ্রেশন আইনজীবী; পাশাপাশি ব্যবসাও করছি। আমরা বাংলাদেশে মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোনে ভূমি নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে উৎপাদন শুরু করেছি। এই নারী উদ্যোক্তা আরও বলেন, ‘বর্তমানে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি, পর্যায়ক্রমে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন ৩০০ মানুষকে কর্মসংস্থান করে দিয়েছি, ভবিষ্যতে কম করে হলেও ১ হাজার মানুষ এখানে কাজ করবে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা সুযোগ পাবেন। শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ডাবলপ্লজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মূলত বিদেশি দরজা-জানালা তৈরি করছি। যেগুলো বিদেশ থেকে আনতে হতো, সেগুলো উৎপাদন করে সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা বিক্রি করব সারা দেশে। বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে মেশিন এবং কারিগরের সাহায্যে আমরা তৈরি করি। দৃষ্টিনন্দন বিদেশি দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং শব্দ ও তাপনিরোধক এবং পরিবেশবান্ধব পণ্যগুলো তৈরি করছি আমরা। ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাহতাব মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রবাসী ব্যবসায়ীরা রেমিট্যান্স-যোদ্ধা থেকে বিনিয়োগ-যোদ্ধা হতে চাই। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, সিলেট বিভাগের মধ্যস্থলে অবস্থিত শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প গড়ে তুলতে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষের এবং এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে মাইলফলক সৃষ্টি হবে।