এই নিউজের ছবিতে ও হেড লাইনে যেভাবে কৌশলে ডিবি র প্রচারনা করা হয়েছে। নিজেকে বাঁচাইতেই হারুনের এ কৌশল।
এ এ রানা
মহানগর পুলিশের অভিযানে দক্ষিণ সুরমার জুয়ারীদের আস্তানা তছনছ ঃ আটক ১১ জুয়ারী। অথছ কৌশলে হারন নিজের আস্তানার বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রচার করে প্রশাসনের চোখে ধুলোপড়া দিয়ে রাতে জুয়ার আস্তানা চালু রেখে বহাল তবিয়তে রয়েছে হারুন?
এ. এ. রানা:: জুয়ারীদের বিরোদ্ধে গত এক সপ্তাহ যাবৎ লাগাতার ” হলি সিলেট অনলাইন ভার্সনে নগরীর দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবশেষে নড়েছড়ে বসে মহানগর পুলিশ।
২১জুলাই শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সিলেট মহানগর পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুদ্দোহা পিপিএম এর নেতৃত্বে ওসি তদন্তের সহযোগীতায় নগরীর জিঞ্জিরশাহ্ মাজার সংলগ্ন সাধুরবাজার, কীনব্রিজের নিচ ও চাঁদনীঘাট মাছ বাজার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১১ জুয়ারীকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর পর থেকে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানায় মহানগর পুলিশের বিশেষ নজরদারী বৃদ্ধি করলে জুয়ারীদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। তাই জুয়ারীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে জুয়ার বোর্ড চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
আজ ২৪ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জুয়ারীদের আনাগোনা নেই বল্লেই চলে।
এ সময় পথচারীদের কাছে জুয়ার আসর সম্পর্কে জানতে চাইলে, তারা এই প্রতিবেদককে বলেন পুলিশের অভিযানের পর আর জুয়ার আসর বসেনি, সবাই ভয় পাচ্ছে। পুলিশ বলে দিয়েছে দক্ষিণ সুরমায় আর জুয়া চলবেনা।
এদিকে দক্ষিণ সুরমায় সকল জুয়ার আস্তানা বন্ধ হলেও বহাল তবিয়তে জুয়ারী হারুনের আস্তানা।
স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে বলেন জুয়ার অনেকগুলো আস্তানায় পুলিশি অভিযান হলেও হারুনের আস্তানায় এখনো পুলিশ যায়নি, হয়তো পরবর্তী সময়ে অভিযান হবে। কিন্তু অনলাইনে দেখলাম হারুনের জুয়ার বোর্ড থেকে ১১ জন আটক করা হয়েছে ।
অনলাইনের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম হারুন টাকার বিনিময়ে একটি অনলাইন পত্রিকায় তার নিজের নামে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পুলিশের অভিযানকে, সে ডিবির অভিযান বলে চালিয়ে দিয়েছে। তার সংবাদের শিরোনামটি ছিল” ডিবি পুলিশের অভিযানে জুয়ারি হারুনের আস্তানা তছনছ”।
অনুসন্ধান নামক ওই অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়সাল আহমদ সাগরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, জুয়ারি হারুন সংবাদটি প্রকাশের জন্য লিখিয়ে পাঠিয়েছে। সংবাদ এবং ছবি সে নিজে দিয়েছে।
এবারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি তদন্ত আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন হারুনের আস্তানায় কোন অভিযান দেওয়া হয় নাই তবে তার জোয়ার আস্তানা বন্ধ রয়েছে।
আমরা দক্ষিণ সুরমার জিঞ্জিরশাহ মাজার সংলগ্ন, কিনব্রিজের নিচ এবং চাঁদনীঘাট মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়।অভিযানে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি তদন্ত আবুল হোসেন নেতৃত্ব দিয়েছেন। কোনো ডিবি পুলিশ অভিযানে যায়নি। তিনি আরো বলেন, জুয়ারি হারুন তার আস্তানায় জোয়ার আসর বহাল রাখতে, পুলিশের নজর এড়িয়ে যেতে কৌশলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায়ে জুয়ারী হারুনকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের প্রতি স্থানীয়দের অনুরোধ।জুয়ারি হারুন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে এত বড় মিথ্যা বলে তার কুঠির জোর কোথায়? এছাড়া পুলিশ প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এত সাহস কোথায় পেলো সে এমন নানা প্রশ্নের ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।