এ এ রানা::
সিলেট নতুন রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ হলেই বাম পাশে চোখে পড়ে একটি পাবলিক টয়লেট সামনে পার্কিংস্থান
আর এই পাবলিক টয়লেটের পিছনে আল আমিন ও নজরুল বাহিনী সরকারী ভুমি দখল করে ঘর তৈরি করে বিগত ১ মাস থেকে প্রতিষ্টিত করেছে নিষিদ্ধ জান্ডুমান্ডু শিলংতীর ও জুয়াখেলা জমজমাট আসর।
সম্প্রতি সিলেট সিটিকর্পোরেশনের উদ্যোগে বাসটার্মিনাল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙ্গে দেওয়া হয় ফুটপাতের সকল ঝুপড়ি দোকানপাট। এসময় যমুনা মার্কেটের সামনে রেলওয়ের কাঁটাতার কেটে ঘর নির্মাণ করে এর ভিতরে ছিল কুখ্যাত জুয়ারী আলআমিন ও নজরুল বাহিনীর অবৈধ জুয়ার আস্তানা। সেই অভিযানে ভাঙ্গা হয়ে পড়ে কুখ্যাত জুয়ারী আলআমিন চক্রদের জুয়ার আস্তানা। ফলে আশপাশের মানুষের মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে।
টার্মিনালের সুন্দর্য বর্ধনে লোকজন ফুটপাত দখল করা সিটি কর্পোরেশনের বাঁধানিষেধ থাকায় আল-আমিন ও নজরুল বাহিনী পূর্বের নির্ধারিত স্থানে জুয়ার বোর্ড বসাতে পারেনী। কিন্তু তাদের ক্ষমতার কাছে সবকিছুই যেন অসহায়। তারা তাদের জুয়ার আস্তানা বসাতে নতুন নিরাপদ স্থান নির্ধারণ করে নেয় এমনকি রেলওয়ের লোহার সীমানাপ্রচীর কেঁটে পাবলিক টয়লেটের পিছনে সরকারী ভুমি দখল করে ঘর তৈরি করে প্রকাশ্যে জান্ডুমান্ডু,, শিলংতীর সহ জমজমাট জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
একদিকে একশত গজ দূরে সিলেট রেলওয়ে জিআরপি থানা , অন্যদিকে ৪/৫ শত গজ দূরে সিলেট বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও আল- আমিন বাহিনীর অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে আইনের তোয়াক্কা নাকরে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট এসব অবৈধ জুয়ার আসর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যমুনা মার্কেটের ও রেলওয়ের অনেক ব্যাবসায়ী জানান, তাদের দোকানের কর্মচারী তার বেতনের টাকা। অথবা দোকানে সহযোগী ভাই, ছেলে , দোকান থেকে লুকিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে একে সত্তর পাওয়ার লোভে ১০০/২০০/৫০০/১০০০/৫০০০ টাকা নিয়ে শিলং তীর ও জান্ডুমান্ডু খেলায় যোগ দিয়ে সব শেষ করে খালি হাতে ফিরে। অন্য দিকে রিক্সা চালক, ব্যানচালক অটোচালক, সিএনজি মাইক্রো চালক , দিন মজুর সারাদিন যা আয় করে পরিবারের জন্য খরছ না করে উপার্জিত সব টাকা শীলংতীর ও জান্ডুমান্ডু খেলে মদ গাঁজা সেবন করে খালি হাতে বাসাবাড়িতে গিয়ে স্ত্রী সন্তানের প্রতি অমানবিক আচরণ করে।
সচেতন মহলের প্রশ্ন কুখ্যাত জুয়ারী আল- আমিন চক্রের এত দাপট কিসের বলে ? দুই থানার মধ্যবর্তী স্থানে সাহস হলো কি করে জুয়ারবোর্ড বসানোর? যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে রেলওয়ের গ্রীলকেঁটে সরকারী ভুমি জবর দখল করে জুয়ার আস্তানা বসানো, ক্ষমতার বাহাদুরি ছাড়া আর কিছুই নয়! এসব প্রশ্নের উত্তর দিবেই বা কে? ……
এদিকে রেলওয়ে ও বাসটার্মিনালের প্রবেশ মুখ হওয়ায় সর্বসাধারনের যাতায়াত সার্বক্ষণিক। এসব এলাকা নিরাপদ রাখতে প্রশাসন নানাবিধ ব্যাবস্থা গ্রহন করে থাকে। সম্প্রতি হলি সিলেট অনলাইন ভার্সনে “ব্যাটারীমার্কেটের সামনে প্রতারক জামাল ও তাহের বাহিনীর তিন তাসি খেলার খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে উক্ত সংবাদটি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়। এবং আজোবদি ব্যাটারী মার্কেটের সামনা নিরাপদ রয়েছে প্রশাসনের উদ্যোগে। ফলে ব্যাটারী মার্কেটের সমোদয় ব্যাবসায়ীগন হলি সিলেট পত্রিকার প্রতিবেদকের মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রশাসনকে।
একই ভাবে জনস্বার্থে প্রশাসনের প্রতি সচেতন মহলের জোরালো দাবী কুখ্যাত জুয়ারী আলআমিন ও নজরুল চক্রের খপ্পর থেকে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে সু পথে ফিরিয়ে আনতে চিহ্নিতদের আটক করে চীরতরে জুয়ার আস্তানা ধ্বংস করে দেয়ার।
এদিকে জিআর পি থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে, এবং রেলওয়ে এলাকায় আলআমিন ও নজরুল চক্রের রেলওয়ে এলাকায় অবৈধ জুয়ার আস্তানা নির্মান সহ জমজমাট জুয়া প্রসঙ্গে বলেন, রেলওয়ের পার্কিং এরিয়াটাই জিআরপির অধীনেই রয়েছে। এজন্য আমরা আইনী ব্যাবস্তা নিতে পারছিনা। দক্ষিণ সুরমা থানা কিংবা কদমতলী বাসটার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ি এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পারবে। আমাদের কোনো সহযোগীতা চাইলে করবো।
এবিষয়ে হলি সিলেট পত্রিকার দক্ষিন সুরমা প্রতিনিধি এ রানার আলাপ হয় দক্ষিন সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে তিনি বলেন, আল আমিন ও নজরুল চক্রের জুয়ার বোর্ডের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে
এবং এ বিষয়ে কদমতলী পুলিশ ফাঁড়িকে ব্যাবস্থা নিতে বলবো।