বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি-:
নব উদ্যােগে জাগ্রত হোক ঐক্যের ডাক এই স্লোগানকে সামনে রেখে,
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম কে,বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন বিয়ানীবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যােগে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাতে এ সংবর্ধনা দেয়া ও এক আলোচনা হয়।
বিয়ানীবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ এর সভাপতি কবি ও সাংবাদিক সাদিক হোসেন এপলুর সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল ইসলামের পরিচালনায়, উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম,সিনিয়র সহ-সভাপতি বিবেকানন্দ দাস(বিবেক),ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফুল হক চৌধুরী (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক),সহ-সাধারণ সম্পাদক খছরুল ইসলাম মাস্টার,সহ-দপ্তর সম্পাদক এম এ মুমিত শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক ফাহিমুর রহমান বাবু,সদস্য সালেহ আহমদ সায়েক, হাজি মসাইদ আলী,নাইম ইসলাম ও ফারুক উদ্দিন আজহারি প্রমুখ।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সংগঠনের পক্ষ থেকে বলেন কবি ও সাংবাদিক সাদিক হোসেন এপলু(শিক্ষানবিশ আইনজীবী) বলেন,অল্প দিনের মধ্যে বিয়ানীবাজারের নানা উন্নয়ন মূলক কাজে সততা ও নিষ্টার সহিত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসায় আপনি বিয়ানীবাজার বাসীর কাছে খুবই প্রশংসিত হয়েছেন।সাধারণ মানুষ আপনার কাছে কোন সমস্যা বা কোন কাজ নিয়ে উপস্থিত হলে তা যথাযথভাবে যাচাইবাচাই করে কাউকে অপেক্ষায় না রেখে কাজগুলো সুসম্পন্ন করে দিয়েছেন।
এজন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
আপনার কাছে আমাদের সংগঠনের কিছু দাবী ছিল যা আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে উপস্থাপন করার জন্য যাতে এ দাবীগুলো বাস্তবায়ন হয়।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের উপজেলায় আপনার খুবই অল্প দিনের অবস্থানের জন্য আমাদের দাবীগুলো সরকারের কাছে পৌঁছানোর পর্যাপ্ত সময় হয়তো আপনার হয়নি।কিন্তুু পরবর্তী সময়ে যিনি আপনার স্থলাভিষিক্ত হবেন উনার মাধ্যমে যাতে আমাদের অত্র উপজেলার উন্নয়নমূলক মূল্যবান দাবীগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে সরকারের কাছে পৌঁছে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আপনার কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ রহিল। “বৃহত্তর সিলেট গণদাবী পরিষদ” -এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও “বিয়ানীবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ” -এর পক্ষ থেকে ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকা মাধ্যমে সংবাদ ও আবেদনের মাধ্যমে সরকারের দায়ীত্বরত কর্তৃপক্ষকে দাবী জানিয়ে আসছি। দাবীগুলো হলো :
১। প্রবাদে আছে যে,”বাতির নিচে অন্ধকার” ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর জলঢুপ এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র থাকা সত্ত্বেও অত্র এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত গ্যাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ১১ নং লাউতা ইউনিয়নসহ বিয়ানীবাজার উপজেলার যেসব এলাকা গ্যাসের সুবিধাবঞ্চিত সেসব এলাকায় দ্রুত গ্যাস সরবরাহের জন্য সরকারে কাছে জোর দাবী জানাই।
২। উপমহাদেশের প্রখ্যাত দার্শনিক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও ১১ নং লাউতা ইউনিয়নের কৃতিসন্তান গোবিন্দ চন্দ্র দেব(জি,সি,দেব)- এর নামে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একটি ভবনের নামকরণ বা একটি চত্ত্বরের নামকরণের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাই।
৩। বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১১নং লাউতা ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের কৃতি সন্তান সিলেট মিউনিসিপালিটির(পৌরসভা ১৮৮৩-৮৬) প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান,নিখিল বঙ্গের পঞ্চম ও বৃহত্তর সিলেট বিভাগের তৃতীয় গ্রেজুয়েট এডভোকেট রায় বাহাদুর দুলাল চন্দ্র দেবের নামে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভিতরে উনার নামে একটি রাস্তা বা চত্ত্বরের নামকরণের দাবী সরকারে কাছে জানাই।
৪।বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১১নং লাউতা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী জলঢুপ গ্রামের কৃতি সন্তান বৃহত্তর সিলেট বিভাগ ও বরাক উপত্যকার প্রখ্যাত প্রথম মহিলা কবি কৃষ্ঞাপ্রিয়া চৌধুরানীর নামে বিয়ানীবাজারের একটি বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি স্থাপন করে গুনি ব্যক্তিদের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে পুনরোদ্ধার করার মাধ্যমে নব প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করার দাবী জানাচ্ছি।
৫। বাংলাদেশের জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত করণের নানকার আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন গ্রন্থের লেখক কমরেড অজয় ভট্টাচার্যসহ ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহে নিহত শহিদদের রাস্ট্রীয় বীরের মর্যাদায় ভূষিত করা ও নানকার আন্দোলনের ইতিহাসকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই।
৬। বিয়ানীবাজার উপজেলায় যেসব এলাকায় পাকা রাস্তার বেহাল দশা সেসব রাস্তার দ্রুত মেরামতের জোর দাবী জানাচ্ছি। যাতায়াতে অত্র এলাকার জনগন সীমাহীন দূর্গতির স্বীকার হচ্ছে।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই দাবী গুলো জনান।