সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে বিজ্ঞান মেলা মান্নান মেম্বার ও শ্যামকালার নিয়ন্ত্রনে গোয়াইনঘাটের চোরাচালান মৌলভীবাজারে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী মহা ধুমধামে অনুষ্টিত হবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মনিপুরি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা শ্রীমঙ্গলে দুর্নীতি বিরোধী আলোচনা সভা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন ‘প্যারিস-বাংলা প্রেস ক্লাব ফ্রান্সে ‘  গঠন শ্রীমঙ্গলে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১ গণ অভ্যূত্থানের অর্জন ধরে রাখা ও সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় কুয়ালিটি চা লক্ষমাত্রা অর্জন না হওয়ার সম্ভাবনা: শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান শ্রীমঙ্গলে মাদক উদ্ধার, পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ আটক ২
মান্নান মেম্বার ও শ্যামকালার নিয়ন্ত্রনে গোয়াইনঘাটের চোরাচালান

মান্নান মেম্বার ও শ্যামকালার নিয়ন্ত্রনে গোয়াইনঘাটের চোরাচালান

সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়ানঘাট সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য। সেই রাজ্যর নিয়ন্ত্রক এখন রাজনৈতিক লেবাসধারী বেশ কয়েকজন। এদের সকলের পরিচয় পুলিশ কিংবা বিজিবির লাইনম্যান হিসাবে। প্রতিমাসে চোরাচালানের এই লাইনম্যান আবার রদবদল করে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, সার্কেল এসপি, জেলা উত্তর ডিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ওসি ও বিজিবির বিভিন্ন ক্যাম্প কামান্ডাররা। যার ফলে রেঞ্জ ডিআইজি, বা জেলার এসপি কোন নির্দেশ বা আদেশ কার্যকর হচ্ছেনা গোয়াইনঘাট থানা এলাকায়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট রেঞ্জে ডিআইজি মাসিক অপরাধ পর্যালোচনায় সভায় এসব সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ করতে জেলার এসপিদের কঠিন নির্দেশনা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কোন নির্দেশনাই আমলে নেয়নি গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল ও সার্কেল সাহিদুল ইসলাম। তবে চোরাচালান বন্ধের বদলে পাল্টেছে চোরাচালান সচল রাখারার নিত্য নতুন কৌশল। আগে প্রতি মাসে সীমান্তেরঘাট অলিখিত ইজারা দেওয়া হতো মাসিক ২০/২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু এখন চলছে কমিশনের খেলা। গতকাল সরেজমিন গোয়াইনঘাট এলাকায় গেলে নতুন করে উঠে আসে চোরাচালান নতুন নিয়ন্ত্রকদের নাম। এরা বেশীর ভাগই জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজনৈতীক লেবাসদারী। আগে যেসব চোরাচালানের লাইন নিয়ন্ত্রণক করতো স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতারা। গত ৫ আগষ্টের পরে এসব লাইন নিয়ন্ত্রন করছেন যুবদল, শ্রমিকদলের কতিপয় কিছু পাতি নেতা। যদিও চোরাচালানে অভিযোগে জেলা বিএনপি বেশ কয়েকজন দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করেছে। উপজেলার পূর্বজাফলং সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন আব্দুল মান্নান উরফে মান্নান মেম্বার। তিনি জাফলং গুচ্ছগ্রামের সাদ্দাম রুহির ছেলে। তিনি চোরাচালানের মাঠে এখনও অপ্রতিরোধ্য। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী। এই মান্নান মেম্বার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। তার বাহিনীতে আছেন, রিয়াজুল, সিরাজুল, সেলিম আহমদ, রবিসহ আরো কয়েকজন। মান্নান গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় থানার ওসি সরকার তোফায়েল ও জেলা উত্তর ডিবির ওসির নামে চোরাচালানের টাকা উত্তোলন করেন। এরা প্রতিবস্তা চিনি থেকে ২ শত টাকা চাঁদা নেয়। এর মধ্যে ১শত টাকা প্রশাসনের জন্য বরাদ্ধ আর ১শত টাকা মান্নানের। এরকম প্রতিদিন কয়েক হাজার বস্তা চিনি সীমান্ত দিয়ে বাংলদেশে প্রবেশ করছে। প্রতিকার্টন কিট ৫শত টাকা, কসমেটিক্স প্রতি কার্টন ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে মান্নান ওতার গ্রুপের সদস্যরা। পূর্ব জাফলং সীমান্তে নলজুরি, তামাবিল স্থলবন্দর, আমতলা, সোনাটিলা, সংগ্রাম পুঞ্জি, লালমাটি, সাইনবোর্ড, ক্যাম্প ক্যান্টিন, জিরো পয়েন্ট, সিড়িঘাট পর্যন্ত মান্নান মেম্বারের একক নিয়ন্ত্রনে চলে চোরাচালান। এসব স্পটে বিজিবির লাইনম্যান হিসাবে টাকা আাদায় করেন, হযরত, রজব আলী, আজির উদ্দিন, ফয়েজ। মান্নানের স্পষ্ট বক্তব্য পুলিশের কাছ থেকে কমিশনে লাইন এনে ব্যবসা করছি এসপি, ডিআইজির কিছু করার নাই। অপর দিকে উপজেলার মাতুরতল, সোনারহাট, পান্তুমাই, বাবুর কোনা এলাকার চোরাচালানের একক নিয়ন্ত্রন সাবেক যুবলীগ নেতা হাতিরখাল গ্রামের হাতিরখাল গোচর গ্রামের মশাহিদ আলীর ছেলে কালামিয়া উরফে শ্যামকালা। শ্যামকালা থানা ও জেলা উত্তর ডিবির ওসির নিয়োগকৃত লাইনম্যান। যুবলীগ থেকে যুবদলে পদ পেতে তিনি ১০ লাখ টাকার একটি গোপনে চুক্তি করেছে এই কালা মিয়া। বর্ডারে দায়িত্বে থাকা বিজিবির সামন দিয়ে এসব চোরাচালানের পন্য দেশে প্রবেশ করলেও টাকার কাছে সকলেই ম্যানেজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন :





© All rights reserved © 2021 Holysylhet