এ এ রানা::
এবার উত্তর সুরমার চৌকিদিঘীতে জুয়ার আস্তানায় পুলিশ অভিযান দিলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
তবে এখনো বহাল রয়েছে চাষনীপীর রোডের কলবাকানি’ ইকবাল ও মুমিনের গ্যারেজের জুয়ার আস্তানা । মহানগর ডিবি পুলিশের অভিযানে নগরীর সব আস্তানা তছনছ হলেও একেবারে নিরাপদে আর নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে চাষনীপীর রোডের কইবাল ও মুমিনের রিকশার গ্যরেজের জুয়ার আস্তানা।।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গ্যারেজের সামনে অটো সিএনজি ও প্রাইভেট কার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত ১৮ ই মার্চ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আম্বরখানা ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ- পরিদর্শক সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর চৌকিদিঘী এলাকায় জুয়ারীদের আটকে উর্মি স্টোর ও রাসেল ষ্টোরে অভিযান চালায়। কিন্তু এসময় কোন জুয়ারীকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য বিগত ১০/১২ বছর যাবৎ এই দুটি দোকানে শীলং তীরসহ বিভিন্ন ধরনের জুয়ার প্রতারণা চলে আসছিলো।
প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে জুয়া। এই জুয়ার বোর্ডের মাকিকের নাম টুটুল ও রাসেল।
চৌকিদিঘীর বাঁশবাড়িতে তারেকের দোকানে বসে এই জুয়ার প্রতারণা চলে বলে স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানান।
👉 এদিকে চাষনীপীর রোড কলবাখানী “রোকেয়া জামে মসজিদের সামনে বিপরীতে দিক পূর্ব পাশে রিকশার গ্যারেজে দীর্ঘদিন থেকে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শীর্ষ জুয়ারীদের উপস্থিতিতে অতি নিরবে চলে জুয়া, শিলংতীর, কাটাকাটি, তাসখেলা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ। নগরীর প্রতিটি জুয়ার আস্তানা ডিবি পুলিশের অভিযানে তছনছ হলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো বহাল রয়েছে
ইকবাল ও মুমিনের গ্যারেজের জুয়ার আস্তানা। কলবাখানি এলাকার মানুষের অভিযোগ থাকলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। স্থানীয় প্রসাশনের জানা থাকলেও রহস্যজনক কারনে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। এবার স্থানীয়দের দাবী মহানগর ডিবি পুলিশের প্রতি চাষনীপীর রোডের মাজারের পাশেই কলবাখানি রোকেয়া জামে মসজিদের সামনেই চলছে এমন নেক্কারজনক অবৈধ জুয়া সহ অসামাজিক কার্যকলাপ ধর্মিয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা রক্ষার্তে ডিবি পুলিশের অভিযান অতি জরুরী বলে তারা মনে করেন।