সুরমা মহলের ভয়ংকর জুয়ারী কাশেমের আস্তানায় ডিবির হানা, আটক-১
এ এ রানা::
মহানগরীর অন্ধকার রাজ্যে হিসেবে পরিচিত জুয়া-মাদকের নিরাপদ আস্তানা সুরমা মহলে নতুন বছরেই ডিবির হানা।
ভয়ংকর জুয়ারী কাশেমের আস্তানায় ডিবি পুলিশ হানা দিলে, জুয়ারীরা এ সময় ডিবির উপর হামলার চেষ্টা করে।
দক্ষিণ সুরমা থানা সূত্রে জানা যায় ডিবির হাতে আটক জুয়ারী ফজলু পেশায় একজন সিএনজি চালক। তাকে ৯৫ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এব্যপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কাশেমের আস্তানায় ডিবি পুলিশের উপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত হতে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। কিছুক্ষণ পরে তিনি জানান ঘটনাটি সঠিক নয় তবে আপনিও খোঁজ নিন আমিও খোঁজ নিচ্ছি।
এই ঘটনা নিয়ে দক্ষিণ সুরমায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ বলছেন, স্থানীয় কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব আসলে কি? এছাড়া লোক মুখে পচারিত হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হোসেনের কাজ কি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার বজায় রাখা নাকি বিভিন্ন স্থানে জুয়ারীদের নিরাপত্তা দেয়া।
মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারীদের এমন কর্মকান্ডে সচেতন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, প্রশ্ন উঠেছে পুলিশেরও নীরব ভূমিকা নিয়ে। তারা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন পুলিশ যদি এভাবেই নীরব থাকে তাহলে আমাদের সন্তানদের রক্ষায় নিজেরাই জুয়ারীদের আস্তানা ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হবো। পুলিশ প্রশাসন যুবসমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করার কথা, অথচ তারা জুয়ারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে যুবসমাজকে অন্ধকারে টেলে দিচ্ছেন। স্থানী প্রশাসন পুলিশ ফাঁড়ি থাকার পরেও ডিবি পিলিশ এসে এসব জুয়ারীদের বিরোদ্ধে ব্যাবস্থা সহ শৃংখলা রক্ষার্থে নানা পদক্ষেপ নিতে হয়। তাহলে পুলিশ ফাঁড়ির কাজ কি সাধারণ মানুষ তার সঠিক জবাব চায়।
এদিকে দক্ষিণ সুরমার বেকার ও নিন্ম আয়ের মানুষ জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাতে চুরি,ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরছে। তারই প্রমান বিভিন্ন সময় পুলিশি অভিযানে অপরাধী আটক।
উল্লেখ্য গত ১৭ জুলাই দক্ষিণ সুরমা থেকে ১৫০ গ্রাম গাঁজা সহ কালাচান নামক এক মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারীকে আটক করেছে দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশ।
এর কিছুদিন আগে সাধুরবাজার বাঁশপালা মার্কেটের পিছনে কাশেম-জেসমিন চক্রের অবৈধ আস্তানা থেকে চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। এসময় বিভিন্ন স্থান থেকে তিন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়,যারা সুরমা মহল আস্তানায় জুয়ার টিকেট কাটে।
বিভন্ন সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়ারীদের আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় সুরমা মহল আস্তানার গডফাদার আবুল কাশেম ও তার মেয়ে জেসমিন, পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন, মার্কাস পয়েন্ট, রেলওয়ে হাসপাতাল (মন্দিরের পাশে)’র
আস্তানার জামাল,মস্তকিন, আনোয়ার, শিপলু, রিপন,মাদক ব্যবসায়ী রুটিওয়ালার বাড়ীর শাহিন, খালেদ ও কমার্শিয়াল এলাকার রবিন অন্তর সহ আরো অনেকেই।
প্রতিদিন দুপুর ২ ঘটিকা থেকে রাতভর চলে নিরাপদ আস্তানা সুরমা মহলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের আনাগোনা। কারণ খোজঁতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অন্ধকার জগতের প্রতারণা ও নানা অপকর্মের কাহিনী ।
স্থানীয় সুত্রে এবং অনুসন্ধানে জানাযায় এই মহলে দুপুর থেকে রাতভর চলে জুয়া, মাদক বিক্রি, সেবন ও সমাজ বিরোধী অনৈতিক আরও অনেক অপকর্ম। ইতিমধ্যে সুরমা মহলটি নগরবাসীর কাছে অন্ধকার জগৎ বা জুয়ার রাজ্যে নামে পরিচিতি পেলেও বন্ধ করতে পারছেনা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি।