প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজা-৪ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। ৬ বারের সংসদ সদস্য তিনি। উনার নির্বাচনী দুটি উপজেলার রাজনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন তিনি। এতে এলাকার জনগণও উনার প্রতি খুশি। এছড়াও দুটি উপজেলায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল রেখে অত্যান্ত বিচক্ষণতার সাথে রাজনীতি করছেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। ঢাকায় থাকলেও সপ্তাহ-দশদিন পরপর এলাকার জনগণ ও নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকায়। উনার নির্বাচনী দুটি উপজেলার অসুস্থ, অসচ্ছল ও বিপদগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পাশে থেকে বিভিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছেন এই গণমানুষের নেতা।
এ সপ্তাহে তিনি এলাকায় আসলে দলীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মীর পাশে দাড়িয়েছেন। বাড়িয়ে দিয়েছেন সহায়তার হাত। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।
গত ৩ অক্টোবর উনার নির্বাচনী এলাকার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি অসুস্থ জামাল কারীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে দেখতে জামাল কারীর বাড়িতে ছুটে যান উপাধ্য ড. মো: আব্দুস শগীদ এমপি। অসুস্থ জামাল কারীর বাড়িতে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
একই দিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফিরোজ মিয়ার অসুস্থ সহধর্মিণীকে দেখতে ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে ছুটে যান কর্মীবান্ধব এই নেতা।
এসময় তিনি ফিরোজ মিয়ার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পরে একই ইউনিয়নের অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা মো. আকতার মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আকতার মিয়ার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। একই দিনে শ্রীমঙ্গল পূর্বাশা আবাসিক এলাকার অসুস্থ এক মহিলা উপাধ্যক্ষ ড. মো; আব্দুস শহীদ এমপির বাসভবনে আসলে ওই মহিলাকে আর্থিক সহায়তা করেন এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এছাড়াও গত ৪ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা কৌশিক ভট্টাচার্য এর বড় ভাই দেবাশীষ ভট্টাচার্য মিটু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ প্রকাশ করে নিহত মিঠুর স্ত্রী সন্তানদের শান্তনা দিতে তার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উনার নির্বাচনী এলাকায় আসলে দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেন এবং বিপদগ্রস্থ ও অসুস্থ নেকাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান এমপি আব্দুস শহীদ।
স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, এমপি আব্দুস শহীদ ৬ বারের এমপি। উনার রাজনৈতি বিচক্ষণ শক্ষি প্রবল। তিনি দক্ষতার সাথে দুটি উপজেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। সন্তানের মতো তিনি দলের নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। ঢাকা থেকে এলাকায় আসলে প্রতিনিয়তই কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের তৃণমূলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাদের প্রিয় নেতা উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। ঢাকায় থাকলেও সপ্তাহ-দশদিন পরপর তিনি নেতাকর্মী ও এলাকার জনগণের খোঁজ খবর নিতে ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকায়। এলাকায় আসামাত্র দলীয় নেতাকর্মীদের ভীড়ে এমপির বাসভবন জমজমাট হয়ে উঠে। নেতাকর্মীদে বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন।
একে একে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খবর নেন তিনি। কেউ অসুস্থ হলে ছুটে যান তার বাড়িতে। কারো স্বজন মারা গেলে, বিয়ে শাদী ও দোয়া মাহফিল ধেকে শুরু করে পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্টানে যোগ দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। অসচ্ছল নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তাসহ ও বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। সমস্যাগ্রস্থ নেতাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা রেখে এভাবেই কেটে যাচ্ছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন।