শ্রীমঙ্গল থেকে ফিরে এ এ রানা ঃ
শ্রীমঙ্গলে সন্তানের শিক্ষার দাবীতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন এক পিতা। ভর্তির কয়েক দিনের মাথায় ‘ক্লাসের উপযোগী নয়’ -এমন কথা বলে শিশুটির পড়ালেখা বন্ধ করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। একই সাথে ছাড়পত্র না দেয়ায় ১১ মাস ধরে পড়ালেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুটি। অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিশুটির পিতা ।
জানা গেছে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের দি বাডস রেসিডেন্টসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ মিডিয়াম শাখায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নাঈম উর-রহমান নামে ওই শিশু ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে শিশুটির সাথে শ্রেণী শিক্ষকদের নানা নেতিবাচক আচরণের অভিযোগ করেন শিশুটির পিতা আব্দুর রহমান সুমন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত বেতন দেয়া স্বত্বেও কেবল ‘ক্লাসের উপযোগী নয়’ এমন কারণ দেখিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ভর্তির ১৬ দিনের মাথায় শিশুকে আর ক্লাস করার সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে শিক্ষার সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত রাখা হয়।
আব্দুর রহমান সুমন বলেন, আমার সন্তান নাঈমকে ভর্তি করানোর পর থেকে স্কুলের ক্লাস টিচাররা ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করে। তার ১৬তম ক্লাস থেকে শ্রেণী শিক্ষকগণ তার ডায়েরীতে নেতিবাচক মন্তব্য লিখতে শুরু করে। এনিয়ে আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করলে স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাকে জানান, নাঈম পড়াশোনায় মনোযোগী না এবং তার দুষ্টমির কারণে অন্য শিশুদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। পরবর্তিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সন্তানকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আবারো প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমার সন্তান নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে আমাকে বিদায় করে দেন। আমি আমার সন্তানকে ভিন্ন কোন স্কুলে পড়ালেখার সুযোগের জন্য টিসি চাইলেও প্রিন্সিপাল টিসি দিতে অস্বীকার করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে সময়ক্ষেপন করে সেসন সম্পন্ন করে। এই সময় তাকে কোন পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি। অথচ সন্তানের পড়ালেখার জন্য তিনি নিয়মিত বেতনও পরিশোধ করে এসেছেন। এ বছর জুলাই মাসে নতুন করে তার ভর্তি নেয়ার কথা থাকলেও তাকে ভর্তি নেয়নি। তিনি বলেন, নাঈম এর আরেক জমজ ভাইকে প্রতিদিন স্কুলে এলে সেও একই সাথে স্কুলে যায়। কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। মন খারাপ করে স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে থাকে। সুমন বলেন, একজন বাবা হিসেবে এই দৃশ্য দেখা খুবই কষ্টের। স্কুল থেকে টিসি সরবরাহ না করায় সন্তানকে অন্য কোথাও ভর্তি করানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমার সন্তানের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ পাঠান।
আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের ইংলিশ মিডিয়াম শাখায় প্রয়োজনীয় শ্রেণী শিক্ষক নেই। একই শিক্ষক একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে ক্লাস নেয়ার রুটিন দেখে তিনি বুঝতে পারেন আমার সন্তানকে পড়ালেখায় একটু বেশী যত্ম নেয়ার প্রয়োজনের তুলনায় শ্রেণী শিক্ষকরে স্বল্পতার ঝামেলা এড়াতে আমার সন্তানের ভবিষ্যত অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এ বিষয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে গেলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদককে বলেন, ওই শিক্ষার্থী ভাল করে কথাই বলতে পারে না, সে ক্লাসের উপযোগী ছিল না। আমরা তার অভিভাবককে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। যেন শিশুটিকে ক্লাসে পড়াশোনার উপযোগী করে নিয়ে আসেন। কিন্তু আভিভাবক আমাদের উকিল নোটিশ পাঠায়। টিসি না দেয়া প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল জানান, শিক্ষা জীবন থেকে কোন ছাত্র ঝড়ে পরুক তা কখনই কাম্য হতে পারে না। তিনি এখন এসে টিসি নিতে পারেন।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গলে সন্তানের শিক্ষার দাবীতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন এক পিতা। ভর্তির কয়েক দিনের মাথায় ‘ক্লাসের উপযোগী নয়’ -এমন কথা বলে শিশুটির পড়ালেখা বন্ধ করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। একই সাথে ছাড়পত্র না দেয়ায় ১১ মাস ধরে পড়ালেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুটি। অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিশুটির পিতা ।
জানা গেছে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের দি বাডস রেসিডেন্টসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ মিডিয়াম শাখায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নাঈম উর-রহমান নামে ওই শিশু ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে শিশুটির সাথে শ্রেণী শিক্ষকদের নানা নেতিবাচক আচরণের অভিযোগ করেন শিশুটির পিতা আব্দুর রহমান সুমন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত বেতন দেয়া স্বত্বেও কেবল ‘ক্লাসের উপযোগী নয়’ এমন কারণ দেখিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ভর্তির ১৬ দিনের মাথায় শিশুকে আর ক্লাস করার সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে শিক্ষার সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত রাখা হয়।
আব্দুর রহমান সুমন বলেন, আমার সন্তান নাঈমকে ভর্তি করানোর পর থেকে স্কুলের ক্লাস টিচাররা ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করে। তার ১৬তম ক্লাস থেকে শ্রেণী শিক্ষকগণ তার ডায়েরীতে নেতিবাচক মন্তব্য লিখতে শুরু করে। এনিয়ে আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করলে স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাকে জানান, নাঈম পড়াশোনায় মনোযোগী না এবং তার দুষ্টমির কারণে অন্য শিশুদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। পরবর্তিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সন্তানকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আবারো প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমার সন্তান নিয়ে আপত্তিকর কথা বলে আমাকে বিদায় করে দেন। আমি আমার সন্তানকে ভিন্ন কোন স্কুলে পড়ালেখার সুযোগের জন্য টিসি চাইলেও প্রিন্সিপাল টিসি দিতে অস্বীকার করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে সময়ক্ষেপন করে সেসন সম্পন্ন করে। এই সময় তাকে কোন পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি। অথচ সন্তানের পড়ালেখার জন্য তিনি নিয়মিত বেতনও পরিশোধ করে এসেছেন। এ বছর জুলাই মাসে নতুন করে তার ভর্তি নেয়ার কথা থাকলেও তাকে ভর্তি নেয়নি। তিনি বলেন, নাঈম এর আরেক জমজ ভাইকে প্রতিদিন স্কুলে এলে সেও একই সাথে স্কুলে যায়। কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। মন খারাপ করে স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে থাকে। সুমন বলেন, একজন বাবা হিসেবে এই দৃশ্য দেখা খুবই কষ্টের। স্কুল থেকে টিসি সরবরাহ না করায় সন্তানকে অন্য কোথাও ভর্তি করানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমার সন্তানের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ পাঠান।
আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের ইংলিশ মিডিয়াম শাখায় প্রয়োজনীয় শ্রেণী শিক্ষক নেই। একই শিক্ষক একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে ক্লাস নেয়ার রুটিন দেখে তিনি বুঝতে পারেন আমার সন্তানকে পড়ালেখায় একটু বেশী যত্ম নেয়ার প্রয়োজনের তুলনায় শ্রেণী শিক্ষকরে স্বল্পতার ঝামেলা এড়াতে আমার সন্তানের ভবিষ্যত অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এ বিষয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে গেলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদককে বলেন, ওই শিক্ষার্থী ভাল করে কথাই বলতে পারে না, সে ক্লাসের উপযোগী ছিল না। আমরা তার অভিভাবককে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। যেন শিশুটিকে ক্লাসে পড়াশোনার উপযোগী করে নিয়ে আসেন। কিন্তু আভিভাবক আমাদের উকিল নোটিশ পাঠায়। টিসি না দেয়া প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল জানান, শিক্ষা জীবন থেকে কোন ছাত্র ঝড়ে পরুক তা কখনই কাম্য হতে পারে না। তিনি এখন এসে টিসি নিতে পারেন।