সিলেট নগরের ট্রাফিক ব্যাবস্থা মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে । বিভিন্ন পয়েন্টে দূর্নীতি আর অনিয়ম বৃদ্ধি পেয়েছে।গাড়ীর কাগজ পত্র দেখার নাম করে চলছে নিরবে চাঁদাবাজি।
গত কাল ১৪ ডিসেম্বর রোজ বুধবার দুপুরবেলা নগরীর আম্বর খানা পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পয়েন্টের আশ পাশে অনেক মটরসাইকেল ও সিএনজি দাঁর করে রাখা। অনেক লোকজন ট্রাফিকের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন।
এমন সময় দেখা গেল একব্যাক্তি আম্বরখানা পয়েন্টে ট্রাফিক মফিজের সাথে কথা বলতে। তাকে তিনি বলতে শুনা গেল পানের দোকানে দিয়ে দাও।
এ সময় লোকটি ১২ শত টাকা পানের দোকানদারের হাতে তুলে দিলো। পেয়ে গেলেন বিপদমুক্ত হওয়ার সিগনাল। কিছু সময়ের মধ্যে ট্রাফিক মফিজ পানের দোকান থেকে টাকা হাতে নিল।
এযেন এক অভিনব কায়দায় ঘোষ নেয়ার ভিন্ন পদ্ধতি । এদিকে লোকটি তার মোবাইল ফোনে ট্রাকের ড্রাইবারকে গাড়ী নিয়ে আসতে বলে।
ততক্ষণে লোকটির সাথে কথা বলার কৌশল গ্রহন করা হলো। মোবাইলে অন্য এক জনের সিএনজির বিষয়ের আলাপ করতে করতে তার সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করাগেল।
বড় ৭ টন ট্রাক দুটি ময়মনসিংহ থেকে প্রতিদিন মাছ নিয়ে আসে সিলেট। নির্ধারিত সময়ে কাজির বাজার ও টুকের বাজার মাছ দিয়ে আম্বরখানা পয়েন্ট দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ যেতে হয় এসব মাছের গাড়ীকে।
সময় তখন প্রায় ১২ থেকে ১ ঘটিকা হবে কোনো মামলা ও হয়রানি ছাড়া আম্বরখানা পয়েন্ট দিয়ে পাস দেয়া হয় এ ট্রাকটি। গাড়ীর হেলপার জুয়েল জানায়, ট্রাফিকের সাথে তাদের আগে থেকেই কন্ট্রাক রয়েছে।
তবে আগে ছিল গাড়ী প্রতি ১০০০ টাকা বর্তমানে সবকিছুর দাম ভাড়ায় ১২০০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। তবে গাড়ী পয়েন্টে আসার আগে ট্রাফিকের টাকা পরিশোধ করতে হয়।
ট্রাক শ্রমিক জুয়েল আরোও জানায় এর কিছু সময় আগে আরেকটি ট্রাক আম্বরখানা হয়ে কোম্পানীগঞ্জ চলে গেছে একইভাবে আরো ১২০০ টাকা দেয়া হয় মফিজকে।
এভাবে প্রতিদিন আদান প্রদান হয় বিভিন্ন পয়েন্টে টাকার। আর হয়রানী করা হয় মটর সাইকেল সিএনজি সহ যানবাহনের ড্রাইবার ও মালিকদের । সামান্য ত্রুটির জন্য কিংবা কারণে অকারণে মামলা ও হয়রানির অভিযোগের শেষ নেই ।
ঘটনার সত্যতা জানতে ট্রাফিক মফিজের মোবাইল ফোন ০১৫৮৩৩২৪৯২ নম্বরে ১৪ ডিসেম্বর রাতে ও ১৫ ডিসেম্বর সারে ৩ টায় যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। চলবে ——-!